পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক, মন্ত্রী ও বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর স্ত্রী শাহানারা আবদুল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী। সোমবার (৮ জুন) এক শোকবার্তায় জিয়াউল আহসান গাজী জানান, শাহানারা আবদুল্লাহ ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও একাধারে বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন সবার কাছে সমান জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য। তিনি আরো জানান, শাহানারা আবদুল্লাহর মৃত্যুতে আমরা একজন কাণ্ডারিকে হারালাম। তাঁর এ অভাব কখনও পূরণ হওয়ার নয়। আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাত ১১টার দিকে ৭০ বছর বয়সী শাহানারা মৃত্যু হয়। জানাজা শেষে সোমবার দুপুরে তাকে বরিশাল মুসলিম গোরস্থানে দাফন করা হয়। আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রীতিনি স্বামী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাদের বড় ছেলে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট রাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের কালরাতে মিন্টো রোডে বাড়িতেও যে হত্যাযজ্ঞ চলে তার সাক্ষী ছিলেন শাহানারা।
ওই রাতে তার সামনে গুলিতে নিহত হয় তার শিশুসন্তান সুকান্ত বাবু, শ্বশুর তৎকালীন মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ অনেকে। সে সময় শাহানারা নিজেও গুলিবিদ্ধ হন।