আজ- রবিবার, ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

কাউখালীর বইয়ের ফেরিওয়ালা আব্দুল লতিফ খসরু

কখনো বাড়িতে বাড়িতে কখনো খেয়াঘাট, বাড়ির আঙ্গিনায় হাসিমুখে পাঠকদের হাতে তুলে দিচ্ছেন নতুন বই। ফেরত নিচ্ছেন পড়ে শেষ করা পুরোনো বইটি। কোনো জামানত নেই, চাঁদা নেই, সদস্য হতে হয় না।
সমাজ গড়ার ভীত রচনার জন্য জ্ঞানের মশাল হাতে কাউখালী উপজেলার জ্ঞানপিপাসু ছাত্রসমাজ ও পাঠকদের নিয়ে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি শুরু করছেন আব্দুস সোব্হান স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল লতিফ খসরু।
ব্যক্তিগত উদ্যেগে অর্ধ শতাধিক বই এবং চারটি জাতীয় পএিকা নিয়ে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির যাত্রা শুরু করেন শিক্ষানুরাগী আব্দুল লতিফ খসরু।
ভাষার মাসে মাসব্যাপি মুজিব বর্ষকে সামনে রেখে আব্দুল লতিফ খসরু কাউখালী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন বই।
উপজেলার আমরাজুড়ি গ্রামের এবং কাউখালী উপজেলা কচুয়াকাঠী গ্রামের শিক্ষার্থীদের পাঠ অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি এ কার্যক্রম শুরু করেন। তার এই কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে নিয়ে যাওয়া হবে কাউখালী উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের উপর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী এবং একান্তরের গণহত্যা ও বধ্যভূমি নামক বই ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেন এই প্রবীণ শিক্ষাণুরাগী।
আব্দুল লতিফ খসরু বলেন, আজকাল পাঠাগারে তেমন একটা পাঠক আসেন না। পাঠকদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ তেমন একটা নেই বললেই চলে। এসব কথা চিন্তা করে পাঠকদের বই পড়ার আগ্রহসৃষ্টি বা পাঠাভ্যাস গড়েতোলার লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারের কার্যক্রম শুরু করি। তিনি আরও বলেন, পাঠাগার থেকে নেওয়া ও তার বিলানো বই নিতে পারেন যে কেউ, এর জন্য কোনো চাঁদা বা জামানতের প্রয়োজন হয় না।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় কেউন্দিয়া গ্রামের ষাটোর্ধ আব্দুল লতিফ খসরু প্রায় ১৫ বছর ধরে একজন বইয়ের ফেরিওয়ালার করেছেন। বই বিলিয়ে দিচ্ছেন সবার মাঝে। সব বয়সের সব পাঠকের হাতেই তিনি তুলে দিতে চান তার পছন্দের বইটি। না, অন্য কোনো আশা কিংবা ইচ্ছা থেকে নয়, খসরু এই কাজ করেন গ্রামের মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রেখে বই পড়ার আনন্দ বিলিয়ে দেওয়ার জন্য।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,শিক্ষাঙ্গন,সারাদেশ