আজ- মঙ্গলবার, ২১শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

spot_img

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শিকদারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শিকদারের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ তৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী-সন্তানরা। বুধবার সকালে ইন্দুরকানী উপজেলার ভবানিপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে প্রবাসী নুরুন্নবী শিকদারের স্ত্রী সালমা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তার ভাশুর অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান শিকদারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ দিন ধরে প্রভাব খাটিয়ে বসত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে জমি ভোগদখলের পায়তারার বিষয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় তার দুটি শিশু সন্তান তনিমা (১৪) ও নুহা (৩) উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি আমার স্বামীর ভিটায় সন্তানদের নিয়ে প্রায় ১৫ বছর যাবত বসবাস করে আসছি। আমার স্বামী জীবিকার তাগিদে প্রবাসে চাকুরি করছে। যখন আমার স্বামীর পিতার ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত জমি আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয় তখন এই জমি এক প্রকার পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল। জমিটি নিচু হওয়ায় জমিতে পানি জমে থাকতো। কিন্তু পরে ঐ জমিতে মাটি ভরাট করে উচু করি। এখন এই জমির পাশ থেকে পাকা রাস্তা নির্মান হওয়ার পর জমির মুল্য বেড়ে যাওয়ায় চোখ পড়ে ভাশুরের। ঠিক তখন ঐ অধ্যক্ষ আমাদের ভিটা ছাড়া করার জন্য উঠে পরে লাগে। আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় তার ছোট ভাই আলামিন শিকদারকে সাথে নিয়ে শুরু করে নানা রকম ষড়যন্ত্র। আমি রাস্তার পাশে ঐ জমিতে দোকান নির্মান করতে গেলে আমার বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় অভিযোগ করে মনিরুজ্জান শিকদার। কিন্তু পুলিশ এসে সরেজমিনে দেখে মনিরুজ্জামান শিকদার সহ আল আমিন শিকদারকে তাদের অবৈধ হস্তক্ষেপ এর বিষয়ে নিষেদ করেন। থানা পুলিশ থেকে কিছু করতে ব্যার্থ হয়ে আমার ভাশুর আধ্যক্ষ মনিরুজ্জামন শিকদার কিছু দিন পূর্বে রাতের আধারে আমার বসত ঘরে ভাড়াটিয়া লোক এনে ভয় ভীতি সহ জীবন নাশের হুমকি দেন। এছাড়া অধ্যক্ষ নিজে আমাকে মারতে আসে এবং তার ছোট ভাই আল আমিন শিকদার কয়েকদিন পূর্বে আমাকে মারধর করে। আমি ও আমার ছোট দুটি সন্তান নিয়ে নিরুপায় হয়ে অধ্যক্ষের এসব কর্মকান্ড এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানাই। এসব বিষয় অধ্যক্ষের ভয়ে থানা পুলিশের দারস্থ হতে সাহস পাচ্ছিনা। আমার স্বামী প্রবাসে থাকায় আমি এখন অবুজ শিশুদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

তিনি আরও জানান, উপজেলার ১০২ নং ভবানিপুর মৌজায় ৪.৫ শতক জমিতে আমার একটি বসত ঘর রয়েছে। যাহার বিএস খতিয়ান ৬৭০/৬৫৫/৯১৫,বিএস দাগ ১৫৫২/১৫২৭।
মনিরুজ্জামান শিকদার স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় এভাবে প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ ভাবে আমার স্বামীর বসত বাড়ি গ্রাস করার চেষ্টা করে আসছে। তার নানান অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রের হাত থেকে আমার স্বামীর বসত ভিটা ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা সহ আমি ও আমার সন্তানদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি ।
এ ব্যাপারে অধ্য মনিরুজ্জামান শিকদার জমিজমা নিয়ে দ্বন্দের কথা স্বীকার করে বলেন, ওই দাগের জমিতে আমার, আমার ছোট ভাই ও বোনের অংশ রয়েছে। এনিয়ে স্থানীয় সালিশ বৈঠক চলমান। উক্ত জমি না ছাড়ার জন্য মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। হুমকি ধামকি ও মারধরের বিষয়টি মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles