আজ- শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

spot_img

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতারণা মামলায় নারী পুলিশ সদস্য কারাগারে

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় মিমি আক্তার (২০) নামের এক নারী পুলিশ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আল-ফয়সাল ওই নারী পুলিশ সদস্যের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় মিমি আক্তারের বাবা মন্নান সিকদারকেও কারাগারে পাঠানো হয়। মিমি আক্তার ঢাকা মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনে কর্মরত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মঠবাড়িয়া উপজেলার বেতমোর গ্রামের নুরুল ইসলাম ফরাজীর ছেলে ফিরোজ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সিঙ্গাপুর প্রবাসী। সিঙ্গাপুর থাকাবস্থায় ফিরোজের বাবা-মা ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে শুরু করেন। সেই সূত্র ধরে কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী গ্রামের আ. মন্নান সিকদারের মেয়ে মিমি আক্তারকে পছন্দ করে উভয়পক্ষ পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেন। পরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণালংকার পড়িয়ে তাদের এনগেজমেন্ট সম্পন্ন হয়। মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিয়ে রেজিষ্ট্রি সম্পন্ন হবে বলে কথা হয়।
এরপর উভয় পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ছেলে-মেয়ের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ হয়। মেয়েকে নতুন মোবাইল ফোন দেয়া হয়। মেয়ের পড়া-শুনার খরচ ছেলে বহন করে। এছাড়া চাকুরির কথা বলে ছেলের কাছ থেকেও টাকা ও বিভিন্ন মালামালসহ সর্বমোট ছেলের কাছ থেকে চার লক্ষাধিক টাকা নেয় মেয়ে ও মেয়ের বাবা । এদিকে মিমির পুলিশে চাকুরী হয়। ফিরোজ দেশে এসে মিমিকে বিয়ে করতে চাইলে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, বিদেশ থেকে প্রেরিত টাকা ফেরত চাইলে মেয়ে ও মেয়ের বাবা-মা দিতে অস্বীকার করে এবং মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় ফিরোজের বাবা নুরুল ইসলাম ফরাজী বাদী হয়ে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মিমি ও তার মা-বাবাকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত মিমি ও তার বাবা মন্নান সিকদারকে জেল হাজতে পাঠায় এবং মিমির মা খাদিজা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles