পিরোজপুরে ১৭ বছরের এক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলম (৫৫) নামের এক ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শাহ আলম পিরোজপুর ডায়বেটিকস সমিতিতে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত। ধর্ষনের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ডাক্তার শাহ আলমের বিরুদ্ধে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। মেয়েটির ‘ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আজ শুক্রবার পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র পরিবারের সন্তান ওই মেয়েটি চলতি বছর পিরোজপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে। গত ১৭ জুন সে পিরোজপুর শহরের ডায়বেটিকস সমিতিতে কর্মরত ডাক্তার শাহ আলমের সদর রোডের (বড় মসজিদের পূর্ব পাশে) নাজ সু ষ্টোরের দ্বোতালায় অবস্থিত ব্যক্তিগত চেম্বারে অফিস সহকারী পদে ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকুরি নেয়। ঘটনার দিন ১ জুলাই দুপুর ২ টার দিকে চেম্বারে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এসময় ওই মেয়েটি শাহ আলমের বিবস্ত্র ছবি তোলার চেষ্টা করলে তিনি মেয়েটির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন। এ কারণে মেয়েটিকে ওই ডাক্তার মারধোরও করেন। পরে মেয়েটির মোবাইলের মূল্য বাবদ ইসলামী ব্যাংক পিরোজপুর শাখার তার (ডাক্তার শাহ আলম) ব্যক্তিগত চেকের (০০৯৬৫৫২) মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন।
এ ঘটনার পরে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনকে ঘটনার বিষয় জানালে তারা মেয়েটিকে পিরোজপুর থানায় নিয়ে আসে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটি বাদী হয়ে মামলা দয়ের করে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরুল ইসলাম বাদল জানান, মেয়েটির অভিযোগ পাওয়ার পরে অভিযুক্ত ওই ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটিকে ‘ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ- শনিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ