আজ- শনিবার, ২২শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

spot_img

পিরোজপুরে সূর্যোদয় গ্রন্থাগারের আয়োজনে বৃক্ষরোপন অভিযান

সূর্যোদয় গ্রন্থাগারের আয়োজনে বৃক্ষরোপন অভিযান-২০১৯ এ পিরোজপুর পৌরসভায় গাছ রোপন করে শুভ সূচনা করেন আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান মালেক, মেয়র, পিরোজপুর পৌরসভা ও প্রধান উপদেষ্টা, সূর্যোদয় গ্রন্থাগার, পিরোজপুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাইদুল্লাহ লিটন, প্যানেল মেয়র, পিরোজপুর পৌরসভা, মোঃ রেজাউল করিম, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, সূর্যোদয় গ্রন্থাগার, আহসান কবির, সহ-সভাপতি, সূর্যোদয় গ্রন্থাগার, সুপতি হালদার, সাধারণ সম্পাদক, সূর্যোদয় গ্রন্থাগার, মোঃ জাহিদ হাসান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সূর্যোদয় গ্রন্থাগার, রিংকু মিস্ত্রী , সদস্য , সূর্যোদয় গ্রন্থাগার, পিরোজপুর সহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। পবর্তীতে পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে গাছ রোপন করা হয় । এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, মোহাম্মাদ জসীম উদ্দীন মাঝি ও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকমন্ডলী, ছাত্র, অভিভাবক ও গ্রন্থাগারের সদস্যবৃন্দ। বৃক্ষরোপনকালে অতিথিরা বলেন বৃক্ষের সাথে জড়িয়ে আছে আমাদের অস্তিত্বের সম্পর্ক। আমাদের জীবন ও জীবিকার জন্য বৃক্ষের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। বৃক্ষ সমস্ত প্রাণীর খাদ্য যোগান দেয়। বিশাল এ প্রাণীজগৎকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য অক্সিজেন দেয়। সেই সাথে প্রাণীজগৎকে বিপন্নকারী কার্বন-ডাই অক্সাইড শোষণ করে। তার সুবিশাল শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে বৃক্ষ দগ্ধ পৃথিবীকে শীতল করে। বন্যা, ক্ষরা, ঝড় নিয়ন্ত্রণ করে বৃক্ষ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। আবহাওয়া ও জলবায়ুকে নাতিশীতোষ্ণ রাখে। মাটিকে উর্বর করে তোলে। গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া রোধ করে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তোলে বৃক্ষ। জাতিসংঘের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের উন্নত ও সুসভ্য দেশগুলো উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে বেশিমাত্রায় বনভূমি ধ্বংস করছে। কিন্তু এর ক্ষতিকর প্রভাব বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পড়ছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ওপরে। উন্নত দেশগুলোর অধিক হারে বৃক্ষনিধনের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে। ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বায়ু মন্ডলের ওজনস্তরে ফাটল ধরেছে। যার ফলে গ্রিন হাউজ ইফেক্টের মতো মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থার প্রতিকার এখনই করা না হলে আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে সারাবিশ্বে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ দ্বিগুন হয়ে যাবে এবং জীবনযাত্রা চরম ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন।
বৃক্ষ পরিবেশ থেকে ক্ষতিকর কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে অক্সিজেন সরবরাহ করে। কিন্তু অধিক হারে বৃক্ষনিধনের ফলে দিন দিন বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃক্ষহীনতার ফলে বায়ু দূষণের জন্য দায়ী অন্যান্য যে সকল উৎসগুলো আছে সেগুলোকেও পরিবেশ নিজ ক্ষমতায় পরিশোধন করতে পারছে না। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বায়ু দূষণ এবং এই কারণে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে প্রাণঘাতী বিভিন্ন রোগে। তাই এই বায়ুদূষণ এবং তার থেকে সৃষ্ট রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকতে আমাদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ বনায়ন করতে হবে।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
0FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -spot_img

Latest Articles