পিরোজপুরে স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে আবুল কালামকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদানের আদেশ দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের মামলার রায় প্রদান করেন। আসামী আবুল কালাম (৪০) জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বড় শৌলা গ্রামের আব্দুস সত্তারের পুত্র।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা জানান, দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আবুল কালাম তার স্ত্রী জেসমিন বেগমকে বিভিন্ন সময়ে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেয়ার চাপ দেয় এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। ঘটনার দিন ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর সে স্ত্রী জেসমিন বেগমকে পিটিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। জেসমিনকে প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নেয়া হলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায়, পরদিন খুলনা চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে, ঢাকা নেয়ার পথে ভাঙ্গা নামক স্থানে ১৪ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু ঘটে। পরদিন নিহত জেসমিন বেগম এর ভাই সাইফুল হক মঠবাড়িয়া থানায় মোঃ আবুল কালামকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১১(ক) ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মঠবাড়িয়া থানার এস.আই মোঃ আব্দুল হক এ মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ৪ নভেম্বর আসামীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। মামলাটি বিচারের জন্য পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মিজানুর রহমানের আদালতে এলে তিনি সাক্ষীদের সাক্ষ্য এবং অভিযোগ পত্র সহ সকল কাগজ পত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসামীর অপরাধ নিশ্চিত হয়ে পলাতক আসামী আবুল কালামকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন এবং একই সাথে ১ লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করেন।
আজ- রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ