পিরোজপুর- ০১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের কর্মী লালন ফকির (২৮) খুন হওয়ার পর পরিবারের সদস্যদের মামলা না নিয়ে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের রক্ষা করতে প্রতিপক্ষের চাপেই পুলিশ এমনটি করেছে বলে দাবি নিহত লালনের পরিবারের।
গত শনিবার রাতে স্থানীয় বাবু শেখ নামে এক যুবকের এর নেতৃত্বে ১৫-২০ জন সমর্থকেরা সদর উপজেলার কুমিরমরা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বটতলা নামক স্থানে লালনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাতে তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে বাবু সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাকসুদুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
নিহত লালনের বাবা হান্নান ফকিরের অভিযোগ তিনি থানায় মামলা দিতে গেলেও, পুলিশ তাদের মামলাটি গ্রহন করে নাই। ঘটনার সাথে জড়িত অনেককেই রক্ষা করতে পুলিশ অজ্ঞাত কারণে নিজেরা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। তিনি আরও জানান, লালনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পরে তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে ঢাকা থেকে ফিরে থানায় মামলা দায়ের করবেন। পরবর্তীতে থানায় যাওয়ার পর পুলিশ তার মামলা আর গ্রহন করেনি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নিহত লালনের পরিবার সময়মত মামলা করতে না আসায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছে। তবে লালনের স্বজনরা চাইলে আদালতের মাধ্যমে আরও অভিযুক্ত সংযুক্ত করতে পারবে।