আমলকী পুষ্টিগুণ সম্পন্ন একটি ফল। টক স্বাদের এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে থাকা খনিজ ও ভিটামিন শরীরের জন্য শুধু উপকারীই না এটি নানা ধরনের অসুখ প্রতিরোধেও দারুণ কার্যকরী।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় আমলকীর নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। চুল থেকে শুরু করে ত্বক কিংবা রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো- সব কিছুর জন্যই আমলকী উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীতে থাকা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিকেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এই ফ্রি রেডিকেলের কারণে নানা ধরনের অসুখ যেমন-ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, আর্থাইটিস, ক্যান্সার, প্রদাহ, লিভারের সমস্যা দেখা দেয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকীতে অ্যান্টি- ডায়াবেটিক উপাদান রয়েছে। কিছু গবেষণা বলছে, প্রতিদিন আমলকী খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। আবার কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আমলকীর জুস খেলে টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
গবেষকদের মতে, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা প্রতিদিন মাত্র একটা করে আমলকী খেলে তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। যদি খুব টক বা বিস্বাদ লাগে তাহলে আমলকী খাওয়ার পর পরই এক গ্লাস পানি পান করুন। এত মুখে একটি মিষ্টি স্বাদ পাবেন।
এছাড়া আমলকীর গুঁড়া ঘরে রেখে প্রতিদিন পানিতে মিশিয়ে খেলেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। চাইলে আমলকীর জুস করেও খেতে পারেন। এটিও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী।