পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দলীয় কোন্দলের জেরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবু হানিফ খানকে কুপিয়ে জখম করেছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। সোমবার সন্ধ্যায় যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল সোহেল বাদী হয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম রাজু ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মর্তুজা সহ ৬৩ জনকে আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ রাতে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রতিবাদ সমাবেশ ও প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা যুবলীগ। থানা সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ এক নেতাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মীর নামে থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে। এ নিয়ে দুই গ্রুপ সোমবার বিকেলে পাল্টা-পাল্টি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। হামলাকারীদের বিচারের দাবীতে সমাবেশে যোগ দিতে আসা স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রানা মালকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষরা। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সন্ধ্যার পর ২৫-৩৯ জনের একটি দল উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আবু হানিফ খানকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় হামলাকারীরা উপজেলা যুবলীগ অফিস ভাংচুর করে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান জানান, দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় উপজেলা যুবলীগ সভাপতিসহ দুইজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মঠবাড়িয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আ‘লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে অভ্যন্তরীন কোন্দল বিরাজ করছে। উপজেলা আ‘লীগ সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র রফিউদ্দিন আহম্মেদ ফেরদৌস, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমান সমর্থিত গ্রুপ এবং উপজেলা আ‘লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম মাতুব্বর সমর্থিত গ্রুপের মধ্যে কোন্দল রয়েছে। এ ঘটনার জেরে উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করেছে