আজ- শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইন্দুরকানীতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ১২৫ হেক্টর জমির কলা ক্ষেত লন্ডভন্ড চাষীরা দিশেহারা

ইন্দুরকানীতে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ১২৫ হেক্টর জমির কলা ক্ষেত লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ায় চাষীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ধারদেনা ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে উপজেলার কলা চাষীরা কলার চাষ করেন। কিন্তু কৃষকের স্বপ্নকে লন্ডভন্ড করে দেয় সর্বনাশা ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। কলা চাষ করেই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তাদের সেই স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়ে পথে বসিয়ে দিয়ে গেছে। এখন তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এর উপর ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় তাদের দিন কাটছে। ক্ষতিগ্রস্ত কলা চাষীরা সরকার বা কোন সংস্থা থেকে সহায়তা পায়নি।এমনকি টাকার অভাবে অনেক চাষী ক্ষেতের ধ্বংস স্তুপ পরিকার করে নতুন গাছ লাগাতে পারছে না। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে উপজেলার চরনী পত্তাশী গ্রামের মোঃ বাদল খানের দেড় বিঘা জমির ১৫শ’ কলাগাছ ক্ষতির পরিমান দেড় লক্ষ টাকা, জালাল শেখের ২ বিঘা জমির ১৭শ’ কলা গাছ ভেঙ্গে দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি, হাসান আকনের ৩ বিঘা জমির ২ হাজার কলা গাছ ভেঙ্গে দুই লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি, ছবির আকনের দেড় বিঘা জমির ১৫শ’ কলা গাছ ভেঙ্গে দেড় লক্ষ টাকা, হানিফ খানের ৩ বিঘা জমির ৩ হাজার কলা গাছ ভেঙ্গে ৩ লক্ষ টাকা,জাকির হোসেন হাওলাদারের ৩ বিঘা জমির ৩ হাজার কলা গাছ ভেঙ্গে ৩ লক্ষ টাকা, জানে আলম হাওলাদারের ৪ বিঘা জমির ৪ হাজার কলা গাছ ভেঙ্গে ৪ লক্ষ টাকা, জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ২ বিঘা জমির ২হাজার কলা গাছ ভেঙ্গে ২ লক্ষ টাকা, আলমগীরের ৬ বিঘা জমির ৬ হাজার গাছ ভেঙ্গে ৬ লক্ষ টাকা, বাবুল খানের ৬ বিঘা জমির ৬ হাজার গাছ ভেঙ্গে ৬ লক্ষ টাকা, সাব্বির শেখে ৭ বিঘা জমির ৭ হাজার গাছ ভেঙ্গে ৭ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পত্তাশী ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন হাওলাদার, ইন্দুরকানী গ্রামের আবুল বাশার মৃধা, মজুন হাওলাদার, ইলিয়াছ হাওলাদার, জনারধনের ও চাড়াখালী গ্রামের মোঃ কামাল হাওলাদারের ৩টি ক্ষেত, চর গাজীপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ইলিয়াস হোসেনের ১১ হাজার কলা গাছ, সহ ৩ শতাধিক কলা ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
চরনী পত্তাশী গ্রামের বাদল খান জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে আমার কলা ক্ষেত একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি এখন নিঃস্ব। সরকার বা কোন সংস্থা থেকে আমরা কোন সহায়তা পাইনি। সরকার আমাদের সহযোগীতা করলে আমরা আবার কলার চাষ শুরু করব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়রা সিদ্দীকা জানান, ১৪৫ জন কলা চাষীর ১২৫ হেক্টর কলাক্ষেতের মধ্যে ১০০ হেক্টর ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,সারাদেশ