আজ- বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

“চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ ইন্টা: ওন্যাজ্যারীণ মিশন বাংলাদেশ”এর খুলনা আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয় হতে পুলিশি অভিযানে  বিপুল পরিমান ইয়াবা ও গাজা উদ্ধার

খৃষ্ঠ ধর্ম প্রচার প্রতিষ্ঠান “চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ ইন্টা: ও ন্যাজ্যারীণ মিশন বাংলাদেশের খুলনা দক্ষিন আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয় হতে খুলনা আঞ্চলিক প্রধান এবং ন্যাজ্যারীণ মিশন বাংলাদেশের বোর্ড সম্পাদক রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস এবং খুলনা আঞ্চলিক প্রধান সহকারী কর্মকর্তা মি: রিচার্র্ড হালদার এর অফিস কক্ষ হতে গাজা ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে খুলনা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১২ জুন ২০২২ রোজ রবিবার অফিস চলাকালীন সময়ে বিকাল ২.৩০ ঘটিকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস এর টেবিলের ৩নং ড্রয়ার এবং মি: রিচার্র্ড হালদার এর অফিস কক্ষের সোফার ভিতর হতে বিপুল পরিমান ইয়াবাও গাজা উদ্ধার করেছে বলে স্বীকার করেন রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোসনিজে। তারনিজের স্বিকারোক্তি মোতাবেক পুলিশি তল্লাশিকালে অফিসে কর্মরত ছিলেন রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস (ডিএস), মি: রিচার্র্ড হালদার (ডিএফ), ম্যানেজার মি: তাপস ঘরোজা, ফাইন্যান্স অফিসার মি: সজল সরকার, অফিস দারোয়ান মি: সুবাস দাস, ঠিকরাবাদ সিডিএসপি প্রজেক্ট ম্যনেজার মি: জ্যাভিয়ার বিশ্বাষ, মোংলা উপজেলা প্রধান রেভারেন্ট টিটো গাইন, সিডিসি প্রধান মানুয়েল মজুমদার, এবং উনাদের উপস্থিতিতেই পুলিশ তল্লাশি করে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও গাজা উদ্ধার করেন। একটি ধর্ম প্রচারক খৃষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তাদের কাছ হতে লিখিত নিয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে এবং নজরদারিতে রেখেছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ক্ষমতার জোরে ডি এস এবং ডি এফ এর কক্ষে গাজা ও ইয়াবা পাওয়া গেলেও তার দোষ চাপায় প্রতিষ্ঠানটির হিসাব কর্মকর্তা এবং অফিস দারোয়ান এর উপর। এমনকি বিষয়টি বাইরে কারো কাছে না বলার জন্য হুমকি প্রদনি করেন ডিএস এবং ডিএফ। কথা বলে যানা যায় পুলিশ তাদের স্বিকারোক্তি নেওয়ার জন্য ব্যপক মারধর করেছে এমন কি বর্তামনে হিসাব কর্মকর্তা চিকিৎসাধিন রয়েছেন। রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস এর কথা মতে, তার টেবিল ড্রয়ারের চাবি শুধু মাত্র তারই কাছে সংরক্ষিত থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন জানুয়ারী ২০২২ এ বর্তমান ডিএস খুলনা আঞ্চলিক অফিসে যোগদান করার পর হতে ব্যপকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম হতে অর্থআত্বস্বাৎ, নেশা সহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম করে আসছিল, ডিএস, ডি এফ এবং খুলনা সিডিএসপি এর ম্যনেজার জেভিয়ার বিশ্বাস। এই তিনজনই প্রতিষ্ঠানের বিষেশ পদে বহাল থাকার জন্য চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য একজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায় বিষয়টি ঢাকা ন্যাশনাল অফিস জেনে যাওয়ায় এবং সরোজমিনে তদন্ত করতে আশায় মি: রিচার্র্ড হালদার (ডিএফ) এর রুমের সিসি ক্যামেরার বিগত দিনের সকল ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছে, যার যাবতীয় নিয়ন্ত্রন সে এবং (ডিএস) রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস করে থাকে।

উল্লেখ্য যে, এ প্রতিষ্ঠানের অর্থ কেলেঙ্কারী এবং অনৈতিক কার্যক্রমের বিষয়টি এলাকার বহুল আলোচিত এবং এবার জড়িয়ে পড়লো মাদকের নেশার সাথে। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধানদের নিরব ভুমিকা প্রমান করে ধর্মীয় ব্যানারের আড়ালে একটি স্বার্থন্নেসী মহলের ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধার এর উদ্ধোগ, ধর্মপ্রচার হলো প্রতিষ্ঠানটির নাম মাত্র কৌশল।

২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটির ফাউন্ডার মি: সুকমল বিশ্বাস সহ আনুমানিক ৪০ জন কর্মকর্তা বহিস্কার হয় প্রতিষ্ঠান বিরোধী কার্যকলাপের জন্য এবং গত ডিসেম্বর ২০২১ এ আবারো একই ধরনের অভিযোগে বহিস্কার হয় প্রতিষ্ঠানের কান্ট্রিপ্রধান সহ তিন জন ডিএস এবং ১০ জনের মত সহযোগী কর্মচারী। যার হতে প্রতিয়মান হয় যে, এটি একটি দূর্নতীগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানটি এবং যার করণে গত বছর এনজিও এবি ৬ মাসের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ফান্ড বন্ধ করে রাখে।

প্রতিষ্ঠানটির প্রায়ই প্রতিটি কার্যক্রমে অনিয়ম, স্বার্থ কেন্দ্রিক কর্মচারি নিয়োগ, পারিবারিক এবং ব্যাক্তি পর্যায় আতিœকতার অভাব সয়ং খৃষ্ঠীয়ান মহলেও সমালোচিত, যদিও আমাদের দেশে খৃষ্ঠীয়ান প্রতিষ্ঠানগুলির উপর সকল সম্প্রদায়ের একটা আস্থা, ভালোবাসা এবং সহযোগীতা দৃশ্যমান।

এধনের নেক্করজনক ও কুরিচি সম্পন্ন কর্মকর্তাদের সঠিক বিচার সহ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনার জন্য সরকারী প্রশাসন, দাতা প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি এবং এনজিও এ বি এর বিশেষ নজরদারী একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন ভূক্তভোগীগন।।

 

বিভাগ: অন্যান্য,খুলনা বিভাগ,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,সারাদেশ