আজ- শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরে মানছে না লকডাউন তৎপর জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ

রমজানের মধ্যে সারাদেশের ন্যায় পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেরায় লকডাউন চললেও শহরের এবং উপজেলার বাজারগুলোতে বাড়ছে জণসমাগম মানতে রাজি না লকডাউনের বেড়াজাল। জণসাধারণকে লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ তৎপর রয়েছে। জেলার শহরের বাজার ও উপজেলাগুলো বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট খোলা রয়েছে মাছবাজার সবজি বাজারে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব। আজ রবিবার শহরের বাজারগুলোর মধ্যে মাছ বাজার মুদি বাজারে রয়েছে উপছে পড়া ভির নেই কোন সামাজিক দুরত্ব। বাজারে যে পরিমান অনিয়ম চলছে তাতে কিছুতেই করোনা সংক্রমনকে আটকানো সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অনেকেই। দোকান বন্ধ রাখার জন্য জেলা প্রশাসন এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন জায়গায় মামলার পরে মামলা দিয়েও ঠেকানো যাচ্ছেনা শহরের বাজারগুলোর ব্যবসায়ীদের অনিয়ম। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে তারা বিভিন্ন চেকপোষ্টে মোটরসাইকেল সহ বিভিন্ন জানবাহনের উপরে লাইসেন্স এর জন্য মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। এত কিছুর পরেও যেনো নাম মাত্র লকডাউন চলছে পিরোজপুর জেলায়। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না প্রশাসন। তবে অনেকেই দোষারোপ করছেন জেলা ব্যবসায়ী সমিতিকে। কারন জেলা ব্যবসায়ী সমিতি এবারের লকডাউনে তেমন কোন ভুমিকা পালনে সক্ষম হয়নি। বিগত দিনে লকডাউনে শহরের বাজারে বাশ বেধে কঠোরতার ইঙ্গিত দিলেও এবারে নেই চোখে পড়ার মত তাদের তেমন কোন কার্যক্রম।

শহরের বাজারে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও স্বাস্থ্যবিধি মানাছে না অনেক ব্যবসায়ী ও ক্রেতগণ তারপরেও ব্যবসায়ী সমিতি নিতে পারে নি কোন কঠোর জোড়ালো পদক্ষেপ। শহরের কাঁচাবাজার, মুদিবাজার, ঔষধ, খবারের কিছু দোকান খোলা থাকার কথা থাকলেও প্রায় সব ধরনের দোন খুলে ব্যবসা করছে ব্যবসায়ীরা। সকল খাবার দোকান, চায়ের দোকান, দোকান মালিকরাই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু পিরোজপুর শহরের দোকানই নয় মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ, নাজিরপুর, কাউখালি সহ প্রায় সব উপজেলার বাজার গুলোর অবস্থা একই রকম খোলা রয়েছে দোকানপাট মানছে না লকডাউন। পাশাপাশি কেউ মানছে না সামাজিক দূরত্বেও নিশেধাজ্ঞা।

জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব জানান, শহরের বাজারে জণগনের সচেতনতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে জেলা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে। যেহেতু বৈশাখ মাস বছরের শুরুর দিকে ব্যবসায়ীদের বকেয়া দেয়া পাওনার অনেক বিষয় থাকে তাই থারা কিছুটা অনীয়ম করছে তবে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি সরকারি নির্দেশনার বাইরে যারা যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।

জেলা প্রশাসক আবু আলী মো: সাজ্জাদ হোসেন জানান, জেলায় লকডাউন শুরু থেকে সংক্রমক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নিমূল আইন ২০১৮ তে এ পর্যন্ত ১০৫ জনকে ১০৫ টি মামলা দিয়ে ২৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ মাঠে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। শহরে দুইটি মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করে যাচ্ছে এবং সকল উপজেলায় একটি কওে মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করে যাচ্ছে। এখনো যারা এ লকডাউন মেনে চলছে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,লাইফস্টাইল,সারাদেশ