আজ- শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে জায়গা না থাকায় মেঝেতে শুয়ে রোগীরা

স্টাফ রিপোর্টার :
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগীদের ভীষন চাপ থাকায় মেঝেতে জায়গা হচ্ছে না অসুস্থ্য রোগীদের। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের অনেক বেশি চাপে মেঝেতেও জায়গা পাচ্ছে না রোগীরা। ফলে বাধ্য হয়ে অনেক রোগী বারান্দায় পড়ে আছে। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতালে বর্তমানে ১৩৩ রোগী বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। ফলে রোগী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তপক্ষ। হাসপাতালটিতে শুধু জায়গা সংঙ্কট নয় রয়ে পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাব।

জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের মতে ১৯৮১ সালে মহকুমা হাসপাতালটি ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের আমলে সেটি ১০০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। ২০২০ সালের প্রথম দিকে পিরোজপুর সদর হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতালে রুপান্তর করা করে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। বর্তমানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য হাসপাতালের কাজ চলমান থাকলেও মুল হাসপাতালে রোগীদের জন্য জায়গা দিতে পারছে না কতৃপক্ষ এবং নেই পর্যাপ্ত ডাক্তার। জেলা হাসপাতাল হিসেবে ৩২ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও মাত্র ১২ জন ডাক্তার দিয়ে কোন মতে চলছে জেলা হাসপাতাল। সদও উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পেলেক্স থেকে ধার করে চলছে জেলা হাসপাতাল। এখানে নেই কোন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। মেডিসিন, গাইনী ও ইনেস্তেশিয়ার মাত্র ৩ জন ডাক্তার দিয়েই কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। যেখানে কমপক্ষে ২০ জন ডাক্তার থাকার কথা সেখানে সব মিলিয়ে রয়েছে মাত্র ১২ জন ডাক্তার। ফলে কয়েকজন ডাক্তার দিয়েই চালিয়ে নেয়া হচ্ছে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের সকল কার্যক্রম।

জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা জানান, করোনা মাহামরীর সময় পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেই বেড নেই ডাক্তার ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ রোগী ও স্বজনরা। দূও থেকে আসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের জায়গা হচ্ছে না মেঝেতে। কোন মতে চিকিৎসা দিয়ে অনেককে রেফার করা হচ্ছে খুলনা ও বরিশালে। করোনা মহামারীর মধ্যে এটি আর একটি ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা: মো: হাসনাত ইউসুফ জাকী জানান, কয়েকদিন ধরে করোনা রোগীর চাপ বেশি রয়েছে। প্রতিদিনই প্রায় রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ডায়রিয়া, মেডিসিন, অপারেশন, গাইনী ও আহত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারনে হাসপাতালে জায়গার সংঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে সব সময় এমনটা হয় না মাঝে মধ্যে এমটা হলেও আমরা চিকিৎসা ব্যবস্থার কোন ত্রুটি করছিনা। করোনার কারনে একটু চাপ বেড়েছে আমাদের পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও সেলাইন রয়েছে।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,তথ্য প্রযুক্তি,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,ভিডিও খবর,মিডিয়া,সারাদেশ