আজ- শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায়, সিঁড়িতে পাহারা বসিয়ে কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

ফতুল্লায় বান্ধবীর বাড়ি বেড়াতে এসে গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর দায়ের করা মামলায় আটক আলামিন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসিনের আদালত ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

জবানবন্দি রেকর্ড করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি জানান, ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর এলাকায় একটি চারতলা ভবনের ছাদে ধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরদিন আক্রন্ত কিশোরীর পরিবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে আলামিনকে গ্রেফতার করে তবে, ঘটনাস্থল ফতুল্লা থানা এলাকয়া হওয়ায় গ্রেফতারকৃত যুবককে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে এই থানায় হস্তান্তর করা হয়। ধর্ষণের শিকার কিশোরী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। বুধবার গ্রেফতার আলামিন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মোহসিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।

মামলাটি তদন্ত করছেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (আইসিপি) আজিজুল হক। তিনি জবানবন্দির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জবানবন্দিতে গ্রেফতার আলামিন কি বলেছে সে কপি এখনও পাইনি। তাছাড়া তদন্তের স্বার্থে সে ব্যাপারে কিছু বলাও যাবে না।

তবে তিনি কিশোরীর বরাত দিয়ে বলেন, ১৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধিন সানারপাড় এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরী ফতুল্লা থানার মাহমুদপুর এলাকায় বৈশাখী মেলায় আসে। এখান থেকে সে ওই এলাকার সাদির মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া রহিমা আক্তার নামে তার এক বান্ধীর বাসায় বেড়াতে যায়। এখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বান্ধবীর দেবর আলামিন, শরিফ ও বরকত তাকে একটি বাড়ির চারতলা ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে তারা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এদিকে আদালতের একটি সূত্র জানায়, গ্রেফতার আলামিন ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছেন তার দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে। সে জানিয়েছে, আক্রান্ত কিশোরী তার ভাবীর সূত্রে পূর্ব পরিচিত। ঘটনার দিন তারা বাড়ির নিচেই ছিলো। তখন সেখান থেকে কিশোরীকে ডেকে ছাদে নিয়ে যায় সে এবং বরতক ও শরীফ তাকে চারতলা ছাদে নিয়ে যায়। সেখানে সিঁড়িতে পাহারা বসিয়ে পালাক্রমে তারা ধর্ষণ করে।

বিভাগ: টপ নিউজ