আজ- বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বর্ষার আগমন নিয়ে প্রকৃতিতে সৌরভ ছড়াচ্ছে কামিনী

বর্ষার আগমন নিয়ে প্রকৃতিতে সৌরভ ছড়াচ্ছে কামিনী

প্রচন্ড উত্তাপ আর অসহনীয় গরমের উত্তরন ঘটাতে প্রকৃতীতে মেঘের ডামাডোল বাজিয়ে হাতছানি দিয়ে আসছে বর্ষা। আর সেই বর্ষার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে রাস্তার ধারে, ঘাট বা বাসা-বাড়ীর সামনে অযত্নে পড়ে থাকা সাদা শুভ্র সুগন্ধি কামিনি ফুল সৌরভ ছড়াচ্ছে আপন মহিমায়। রাস্তার পাশে,বাগানের ভিতরে সাদা রং ও ছোট ছোট পাপড়ি মেলে মৃদু গন্ধ ছড়ানো কামিনি ফুলে এখন ভরে যাচ্ছে গ্রামের বিভিন্ন এলাকা। তেমনি একটি এলাকার নাম নেছারাবাদ উপজেলার থানা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ট্রলার ঘাট। সেখানে ঝাপনাকারে শাখা-প্রশাখা মেলে ধরা কামিনি গাছের ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নিচে পাতানো হয়েছো ছোট চৌকি। সেই খাটের উপরে বিচানো হয়েছে হোগলা।

স্বরূপকাটি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস হয়ে সোজা দক্ষিন জগন্নাথকাঠি বন্দরের দিকে আগাতেই যেকারো নজর কাড়বে মসজিদ ঘাটের পাশে ফুটে থাকা সাদা শুভ্র সুগন্ধি কামিনির। ওখানে ফুটে থাকা কামিনির রাতের বেলায় এর মৃদু সৌরভ মনকে যেন মাতোয়ারা করে দেয়। গ্রীষ্মের এই বিদায় লগ্নে প্রকৃতীর ভ্যাবসা গরমে যখন সন্ধে বেলা বিদ্যুৎ উদাও হয়ে মানুষ ত্রাহী অবস্থায় পড়ে যায় তখন পথচারি সহ স্থানীয়দের ভীড় পড়ে যায় ওই কামিনি তলায়। তবে, অধিকাংশ সময় যখন সূর্যের আগুন জ্বালানো প্রখর রোদে সেখানের ট্রলার চালকরা অস্থির হয়ে যায় তখন দেহ মন শীতল করতে তারা অবস্থান নেন কামিনি তলায়। তখন চারদিকে শাখা-প্রশাখা মেলে ধরা ফুলে ফুলে ভরা কামিনির বাতাসে মন যেন উতলা হয়ে ওঠে।

কামিনি গাছের সাদা ছোট ফুলগুলি গাছের কান্ডের পাতার নিকটে অনেকটা গুচ্ছকারে জন্মে। আবার কিছু কিছু ফুল একাকি অবস্থান করে। কামিনি পুল পুরোপুরিভাবে ফোটার সাথে সাথে এর ছোট সাদা পাপড়িগুলো জড়ে পড়ে। বর্ষাকালে এই ফুল ফোটে। তাই এটিকে বলা হয় বর্ষার ফুল এই গাছ বাগানে যেমন শোভা বর্ধন করে, তেমনি নানা রোগে ব্যবহৃত হয় এটি। ইন্টারনেট সূত্রে, গাছটির বিভিন্ন অংশ দিয়ে তৈরী ঔষধ জ্বর,ডায়েরিয়া নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া ব্যাথা নাশক হিসাবে এর ভূমিকা ব্যাপক। এটি একটি গুল্ন জাতীয় গাছ।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,ফিচার,বরিশাল বিভাগ,লাইফ স্টাইল,সারাদেশ