আজ- বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মোড়েলগঞ্জে হোগলাপাশা ইউনিয়ন নির্বাচনে আ’লীগের একাধিকরা প্রচারণায় তুঙ্গে

 

ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে হোগলাপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় একাধিক প্রার্থী মাঠে। সবত্রই চলছে নির্বাচনী আলোচনা। নতুনরা চায় পরিবর্তন। বর্তমান চেয়ারম্যান বিগত ৫ বছরে উন্নয়ন চিত্র তুলে ধওে চাচ্ছেন দলীয় প্রতিক। দলীয় প্রত্যাশীরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম নান্না, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান খোকন, মনি শংকর হালদার ও সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস শেখ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম আল মামুন লিয়ন।দীর্ঘদিনের স্মৃতি বিজড়িত হোগলাপাশা ইউনিয়নটিতে রয়েছে ইতিহাস ঐতির্য্য আউলিয়া পীর হযরত শাহা কামাল দরবার শরীফ। মোট জনসংখ্যা রয়েছে প্রায় ১৮ হাজার, ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার। নারী পুরুষ প্রায় সমান। অধিকাংশ মানুষের আয়ের উৎস কৃষি নির্ভরশীলতার উপর। স্বাধীনতার পরবর্তীতে হোগলাপাশা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে ৩ বারে। বিএনপির সমর্থিত ৪ বার। সর্বশেষ ২০১৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এখনও এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সমর্থনে শতকরা ৬০ ভাগ ভোটার রয়েছে বলে নেতাকর্মীরা মনে করছেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম নান্না বলেন, দলের বিদ্রেহী হিসেবে নির্বাচন করিনি। দলীয় প্রতিক একটি রাজাকার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ায় কর্মীদের ক্ষোভের মুখে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রাম হবে শহর বাস্তবায়নে বিগত ৫ বছরে ইউনিয়নের উন্নয়নমুখি ৩০ কোটি টাকার কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। দলের দুঃসময়ে জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন মামলায় হয়রানি নির্যাতিত হয়েও কখনও দলের হাল ছাড়েনি। কর্মীদেরকে সংগঠিত করে রেখেছেন। ১৯ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের ত্যাগী নিবেদিত একজন কর্মী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনি।

ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম ফরিদ বলেন, ছাত্রজীবন থেকে ছাত্ররাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ৭ বছর ধরে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি, পুর্নরায় আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ সালে মামলা হামলার শিকার হয়েও দলের সাথে মিশে আছি। সাধারণ কর্মীসহ জনগনের ভালবাসায় দলীয় মনোনয়ন দাবি করছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা গ্রাম হবে শহর এটি বাস্তবায়নে নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা প্রদানে অনিয়মসহ স্বজনপ্রীতি ও সুসম বন্টন করতে পারেনি বর্তমান চেয়ারম্যান।

জেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি লীগের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান খোকন বলেন, দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ইউয়িন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।  ২০০১ সালে বিগত জোট সরকারের আমলে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের স্বীকার হয়েছি।  জোট সরকারের মামলা হামলার পরেও মাঠে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়ে রাজনীতি করে আসছি কখনো মাঠ ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। আমাকে যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক দেন তাহলে আমি হোগলাপাশা ইউনিয়নে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে কাজ করে যাবো।

 

বিভাগ: অন্যান্য,খুলনা বিভাগ,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,রাজনীতি,সারাদেশ