আজ- শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করায় আসামী গ্রেফতারের দাবীতে সদর উপজেলা যুবলীগের সংবাদ সম্মেলন : মামলা গ্রেফতার-১

পিরোজপুরের কদমতলা ইউনিয়নে যুবলীগ কর্মী নাদিম খান কে কুপিয়ে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং অবিলম্বে সকল আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সদর উপজেলা যুবলীগ। শনিবার দুপুর ২টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিহাব বাহিনীর নেতৃত্বে যুবলীগের কর্মী নাদিম খানের হাতের কবজি কেটে বিছন্ন করেছে কতিপয় সন্ত্রাসীরা। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। পাশাপাশি অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িত সকল আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান। পুলিশ তেমন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরো অভিযোগ করেন বলেন আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকতে যুবলীগ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপরে নির্মম নির্যাতন হচ্ছে হাতের কবজি কেটে নিয়ে যাচ্ছে, পা ভেঙ্গে ফেলছে, কুপিয়ে আহত করছে কিন্ত পুলিশ আসামী ধরছে না বরং সন্ত্রাসীদের শেল্টার দিচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান জানান, এ পর্যন্ত কদমতলা ইউনিয়নে ১০ থেকে ১২ টি মামলা হয়েছে এর মধ্যে অধিকাংশ মামলাতেই কদমতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিহাব হোসেন আসামী রয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৫ থেকে ২০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। বিচার নেই পুলিম মামলা নেয় না, কোন ভাবে মামলা হলেও ধারা পাল্টে দেয় আসামী ধরে না উল্টো আসামীদের মদদ দেয়। কোন এক অদৃশ্য শক্তির নিয়ন্ত্রনে থেকে পুলিশ কাজ করছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সিকদার, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিরন, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক সাদউল্লাহ লিটন, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মানিক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইরতিজা হাসান রাজু, কদমতলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হানিফ খান।

বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগ কর্মী নাদিম খানকে কুপিয়ে হাতের কব্জি কেটে ফেলে প্রতিপক্ষরা। আহত অবস্থায় নাদিমকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। পরে আংশঙ্কাজনক অবস্থায় নাদিমকে প্রথমে খুলনা এবং পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। আহত যুবলীগ কর্মী নাদিম খান সদর উপজেলার তেজদাসকাঠী এলাকার নজরুল ইসলাম খানের পুত্র।

এ ঘটনার বিষয়ে কদমতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিহাব হোসেনের মোবাইল ফেনে বারবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জানাযায় তিনি মামলার কারনে আত্মগোপনে আছেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার (১৪ জানুয়ারী) রাতে সদর থানায় ৩২ জনকে নামিয় এবং ২০/২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে আহত নাদিমের ফুফু তামান্ন। শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিজান হাওলাদার নামে একজন আসামীকে গ্রেফতার করে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ.জ.মো: মাসুদুজ্জামান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিজান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের চারটি টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

 

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,রাজনীতি,লাইফ স্টাইল,সারাদেশ