আজ- শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজাপুরে জামাত কর্মীর হামলায় আওয়ামীলীগ কর্মীসহ ৬ জন আহতের অভিযোগ

ঝালোকাঠির রাজাপুরের বড়ইয়া ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় ৬ আওয়ামীলীগ কর্মী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৩জুন) বিকেলে উপজেলার চল্লিশকাহনিয়া শাহরুমীর বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন প্রত্যাক্ষদর্শীরা।

স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের মৃত্যু রুমিয়ান ফকিরের ভগ্নিপতি মোঃ ফারুক হোসেন গত ০২ জুন রুমিয়ান ফকিরের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ভক্তবৃন্দ সহ স্থানীয় কতিপয় লোকজনকে দাওয়াত দেয়। সেখানে উপস্থিত লোকদের মধ্যে একপর্যায়ে জামাত শিবিরপন্থী মামুনুর রশীদ নোমানী ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে দাওয়াতে কেন আসছে জিজ্ঞাসা করে তারজন্য দেয়া খাবার প্লেট কেড়ে নেয়, এটা নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার ঘটনায় সহিংসতার আশংকা দেখা দিলে স্থানীয় জনগন বিষয়টি রাজাপুর থানাপুলিশ কে অবহিত করে।

রাজাপুর থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। থানা পুলিশের সদস্যগন ঘটনাস্থল ত্যাগকরার পর থেকেই মামুনুর রশীদ নোমানী দেলোয়ার ও তার স্বজনদের কে হামলা করে অঙ্গহানির হুমকি প্রদান করিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ০৩ জুন বিকাল আনুমানিক ৩ঃ৪৫ ঘটিকার সময় জামাত শিবিরপন্থী মামুনুর রশীদ নোমানী পরিকল্পিত ভাবে তার দলবলসহ দেশি অস্ত্র- সস্ত্র নিয়ে চল্লিশ কাহনিয়া রুমিয়ান ফকিরের বাড়ির সামনে থেকে দেলোয়ার থেকে যাওয়ার সময় হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে, তখন এ খবর শুনে দেলোয়ারের আত্মীয়স্বজন ও পরচিত লোকজন এগিয়ে আসলে আরো ৫ জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারামকভাবে জখম করে। আহতরা হলেন ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৫), ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মোঃ ফেরদৌস (২৫), মোঃ কালু মোল্লা (৫০), ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ দুলাল (৪৮), ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলম হোসেন (৪৬), ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোসাঃ নুপুর আক্তার ইরানি (৪২)।

স্থানীয় জনগন এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন, বাকী ০৩ জনকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেন।

এব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে মামুনুর রশীদ নোমানী জানান, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ আক্রমন করেছে প্রতিপক্ষরা। এতে আমি সহ আমার মা ও বোন আহত হয়।

এব্যাপারে রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, ঘটনার পরপই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,রাজনীতি,সারাদেশ