আজ- শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

অসহায় মেডিকেল শিক্ষার্থী সাবনূরের মেডিকেলে পড়ার দায়িত্ব পিরোজপুর জেলা প্রশাসক

দারিদ্রতা আর অভাবে থমকে থাকছেনা মেডিকেল পড়ার সুযোগ পাওয়া নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ কামারকাঠী গ্রামের দিনমজুর বাবুল মোল্লার বড় মেয়ে সাবনূরের। পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগীতা পেয়ে প্রাথমিকভাবে সে সমস্যা দুর হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান প্রাথমিক ভাবে সাবনূরের ভর্তির খরচ বাবদ ২৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। সেই অর্থ পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের পক্ষে নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন তাঁর কার্যালয়ে সাবনূরের হাতে তুলে দেন।
আর্থিক সহযোগীতা পেয়ে সাবনূর বলেন, মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েও আমার পথচলা অনিশ্চিত ছিল। সেটি পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের এই সহযোগীতায় সচল হয়েছে ধন্যবাদ জানান বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে।
সাবনুর বলেন, ‘পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে অনেকে ফোন করে তাকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। পাশে থাকার সাহস জুগিয়েছেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ বাবদ নগদ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া নেছারাবাদ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি সাবনূরের পড়াশোনার খরচ চালাতে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।’
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাবনূরের ভর্তি অনিশ্চয়তার কথা জানতে পারি। এই মেধাবী মুখটি কাজে লাগাতে তার ভর্তির জন্য যাবতীয় খরচ আমি দিয়েছি। সাবনূরকে বলা হয়েছে তার পড়াশোনার যে কোন প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন তার পাশে আছে।
প্রসঙ্গত, সাবনূর পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার জলাবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ কামারকাঠী গ্রামের দিনমজুর বাবুল মোল্লা ও গৃহিণী সাবিনা বেগমের বড় মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী। সেই মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাতেও। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,শিক্ষাঙ্গন,সারাদেশ