মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তার ছেড়া গেঞ্জী ও ভাঙ্গা স্যুটকেসের আসল রহস্য সুধাংশু শেখর হালদার পার্লামেন্টের বক্তব্যে উদঘাটন করে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। সামরিক শাসকরা তাকে মন্ত্রীত্ব দেয়ার প্রলোভন দেখালেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাবার শপথ নিয়েছিলেন। মন্ত্রী মঙ্গলবার বিশিস্ট পার্লামেন্টারিয়ান, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সুধাংশু শেখর হালদার এর ১৬তম মৃত্যু বাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির ভার্চুয়াল বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পিরোজপুর জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ ও সুধাংশু শেখর হালদার স্মৃতি পরিষদ এর যৌথ আয়োজনে পিরোজপুরের কেন্দ্রীয় কালিবাড়ি প্রাঙ্গণে পূজা উদ্যাপন পরিষদের জেলা সভাপতি বিমল মন্ডল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ স্মরণসভায় জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার মোঃ হায়াতুল ইসলাম খান বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক গৌতম চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সমীর কুমার দাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক শফিউল হক মিঠু, জেলা পূজা পরিষদের সহ-সভাপতি প্রবীর মন্ডল, সহ-সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর, সদর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি গোপাল পাল, অধ্যক্ষ অলোক কর্মকার, লিটন কর, অসীত মজুমদার অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রী বলেন, সুধাংশু শেখর হালদার ছিলেন একজন অকুতোভয় আপোষহীন সৎ ও নিবেদিত প্রাণ রাজনৈতিক নেতা। তিনি দু’দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও কখনও টিআর, কাবিখার কমিশন নেননি বা নিয়োগ বাণিজ্য করেননি। দূর্নীতি কখনও তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। ১৯৯১ সালে সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী বিলে তিনি ছিলেন অন্যতম প্রণেতা। তিনি ১৯৭৯ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধের ইনডেমিনিটি বিল নিয়ে বলেছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোড়ে এই জঘণ্য বিল পাশ করেছেন, এমন একদিন আসবে যেদিন আপনাদের সংসদে সদস্য সংখ্যা ৭ জনও হতে পারে। আজ তার এ কথা অক্ষরে- অক্ষরে ফলে গেছে। বিএনপি’র সংসদে সদস্য সংখ্যা আজ ৭-এ দাড়িয়েছে।
আজ- রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ