![ধর্ষণের সময় ধরা পড়লেন ছাত্রলীগ নেতা](https://s3-ap-southeast-1.amazonaws.com/images.jagonews24/media/imgAllNew/BG/2019April/pirojpur-2-20190725210102.jpg)
স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক হাসান।
গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার মধ্য ঝনঝনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত তারেক হাসান উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তুতবাড়ি গ্রামের আবুল হাশেম খলিফার ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্র পরিবারের ওই নারী বাবার মৃত্যুর পর মায়ের সঙ্গে মামার বাড়িতে বসবাস করতেন। পরবর্তীতে চিতলমারী উপজেলায় তার বিয়ে হলে সেখানে চলে যান। এরই মধ্যে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পাঁচ বছরের একমাত্র মেয়েকে নিয়ে আবার মামার বাড়িতে চলে আসেন।
বুধবার ওই নারীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাত ১০টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা তারেক ওই নারীর ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারীর মামাতো ভাই সুজনসহ স্থানীয়রা তারেককে হাতেনাতে আটক করেন। পরে কৌশলে পালিয়ে যান তারেক।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই নারী বিয়ের দাবিতে তারেক হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেন। ঘটনা জানাজানি হলে মাটিভাঙ্গা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ খান মো. মিজানুর রহমান ওই নারীকে তারেকের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে মেলামেশা করতো তারেক। বুধবার রাতে ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণের সময় তারেককে হাতেনাতে আটক করেন স্থানীয়রা। ওই সময় তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়া হয়। কিন্তু রাতে কৌশলে পালিয়ে যায় তারেক। পরে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নিলে আমাকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস বলেন, ঘটনা সত্য হলে তারেক হাসানের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ করা হবে।
নাজিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি প্রেমঘটিত মনে হচ্ছে। ওই নারী বিয়ের জন্য চাপ দিলে তারেক অস্বীকার করে পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী নারী মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।