পিরোজপুর পৌর শহরের বাজারসহ বিভিন্ন উপজেলা বাজারে হঠাৎ করে পেঁয়াজের মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে। শনিবার মুদি দোকানে ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে খালি হাতে ফেরত এসেছেন। খুচরা দোকানদারদের খুলনার পাইকারী বাজার থেকে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশীতে পেঁয়াজ কিনতে হয় বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হাত গুটিয়ে বসে আছেন।
শনিবার বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, হাতে গোনা দুই একটি দোকানে নি¤œমানের সামান্য কিছু পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীরা বসে আছেন। ক্রেতারা বাধ্য হয়ে কেজি প্রতি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় পেঁয়াজ কিনছেন।
মুদি দোকানদাররা জানান, খুলনার মোকাম থেকে ১৬০ টাকা দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারী দরে কিনে পিরোজপুরে আনতে অতিরিক্ত পাঁচ টাকা পরিবহণ খরচ হচ্ছে। অথচ জেলা বাজার কর্মকর্তা বলে দিয়েছেন, ১৫০ টাকার ঊর্ধ্বে খুচরা দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা যাবে না।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের খুলনা থেকে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ এনে বিক্রির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু খুলনা থেকে বেশী দামে পেঁয়াজ কিনে লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে হয় বলে পিরোজপুরের খুচরা ব্যবসায়ীরা দোকানে পেঁয়াজ তুলতে অপারগ হওয়ায় বাজার এখন পেঁয়াজ শূণ্য। ইন্দুরকানীতে ঘোষেরহাট বাজার পেঁয়াজ শূণ্য হওয়া ক্রেতারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। শনিবার পেঁয়াজ না কিনতে পেরে অনেকে খালি হাতে বাসায় ফিরে এসেছেন।
ঘোঘেরহাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী রিপন কুমার দাস জানান, শুক্রবার ইন্দুরকানী বাজারে ক্রেতারা ঁেপয়াজ মেপে নিয়ে অনেকেই টাকা না দিয়ে চলে গেছে। আমি ১৮০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি। কিন্তু কেউ কেউ জোর করে পেঁয়াজ মেপে নিয়ে ১০০ টাকা ও ১৪০ টাকা দিয়ে চলে গেছে।
ব্যবসায়ী কৃষ্ণ দাস ও মিলন দাস জানান, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ১৮০ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা এই দামে পেঁয়াজ কিনতে চায় না। তাই আমরা অন্যান্য মালামাল আনলেও লোকসান হওয়ার ভয়ে পেঁয়াজ আনি নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, ঘোষেরহাট বাজারে ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ না আনার বিষয়টি শুনেছি। তবে যেখানে কমমূল্যে পেঁয়াজ পাওয়া যাবে সেখান থেকে পেঁয়াজ আনার ব্যবস্থা করা হবে।