আজ- শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সব যোগ্যতা থাকলেও এমপিওভুক্ত থেকে বঞ্চিত বিজিএস মহিলা দাখিল মাদ্রাসা

যোগ্যতা থাকলেও এমপিওভুক্তি হয়নি ইন্দুরকানীর । আশ^াসে কেটে গেল ১৮ বছর। শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মিটিংয়ে মাদ্রাসায় পাঠদান বন্ধের আলোচনা হয়েছে। এত বছরে ও এমপিওভুক্ত না হওয়াকে দুঃখজনক বলছেন উপজেলা চেয়ারম্যান এড. এম মতিউর রহমান। ১৯৮০ সালে বিজিএস মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ২০০২ সালে পে-অফ ঘোষনা করে। শিক্ষকরা নিজেদের সে¦চ্ছাশ্রমে ও অর্থয়নে মাদরাসা পরিচলনা করতে থাকেন। এমপিওভুক্তির আশায় এতদিন নানা চেষ্টা তদবির ও করে আসছিলেন শিক্ষকরা। কিন্তু প্রকাশিত সর্বশেষ এমপিও তালিকায় মাদরাসাটিকে যুক্ত করা হয়নি। এই প্রতিষ্ঠানে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। মাদরাসায় পাঠদান বন্ধের কথা শুনে অভিভাবকরা পড়েছেন দূরচিন্তায়।
বিজিএস মহিলা মাদরাসার সুপার এইচ এম শাহ-আলম বলেন, ২০০২ সালে পে-অফ ঘোষনার পর থেকে শিক্ষকরা বিনা বেতনে পাঠদান চালিয়ে আসছেন। আমার মাদ্রাসা থেকে ২০১৬ সালে দাখিল পরীক্ষায় ২০ জন অংশগ্রহন করে ১৯জন কৃতকার্য হয়, ২০১৭সালে ২০জন অংশগ্রহন করে ৯জন কৃতকার্য হয়, ২০১৮ সালে ৩০জন অংশগ্রহন করে ১৪জন কৃতকার্য হয়,২০১৯ সালে ৩০জন অংশগ্রহন করে ২১জন কৃতকার্য হয়। ফলাফলে উপজেলা পর্যায় শির্ষে স্থান লাভ করলেও মন্ত্রনালয়ের সব শর্ত পূরন করা হয়েছে। তবুও এমপিওভুক্ত হয়নি প্রতিষ্ঠানটি।
বিজিএস মহিলা দাখিল মাদরাসর সভাপতি আসাদুল কবির তালুকদার স্বপন বলেন, সকল যোগ্যতা থাকা সত্বেওু প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্তি না হওয়া দুঃখজনক। শিক্ষক ও শিক্ষাথীদের কথা চিন্তা করে এমপিওভুক্তি প্রয়োজন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মীর একে এম আবুল খয়ের বলেন, প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক তথ্য চেয়েছে। সেই অনুসারে এমপিওভুক্তি হয়েছে। তবে বিজিএস মাদরাসাটি এমপিওভুক্তি হলে ভালো হতো। আমাদের উপজেলায় ৫টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হয়েছে।

 

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,সারাদেশ