শুক্রবার বিভিন্ন মিডিয়ায় পিরোজপুরের ইন্দুরকানী সদরের এক বৃদ্ধ মায়ের অসহায়ত্বের খবর ভাইরাল হয়। ছেলে থাকেন তিন তলা দালানে আর মাকে রেখেছেন ভাঙ্গা কুড়ে ঘরে। মায়ের প্রতি অযত্ন অবহেলার অমানবিক এ চিত্র সমাজের কাছে তুলে ধরেন কলম সৈনিক আহাদ শিমুল। তিনি এ বৃদ্ধ মায়ের মানবেতর খবরটি প্রথমে পিরোজপুর রিপোর্ট এর ফেসবুক পেজ এ পোষ্ট করেন। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় খবরটি ভাইরাল হয়ে যায়। খবরটি প্রচারের আধা ঘন্টার মধ্যে অসহায় মা শাফিয়া বেগমকে কুড়ে ঘর থেকে নজরুল তার দালান ঘরে নিয়ে আসেন। এরপরে সংবাদটি পিরোজপুরের বাংলা ভিশনের সাংবাদিক কুমার শুভ পিরোজপুরের পুলিশ সুপারের নজরে আনেন। পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান ইন্দুরকানী থানার ওসি হাবিবুর রহমানকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ার জন্য বলেন। ওসি হাবিবুর রহমান নজরুলকে থানায় ডেকে মায়ের সেবা যত্ন সঠিক ভাবে নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। এরপরে নজরুল তার মায়ের জন্য সুন্দর বিছানার ব্যবস্থা করেন।
সাংবাদিক আহাদ শিমুল সব সময় মানবিক সংবাদ গুলোকে বেশি প্রধান্য দিয়ে থাকেন। এছাড়া ইন্দুরকানী সকল সামাজিক কার্যক্রমে তিনি থাকেন সর্বাগ্রে। আহাদ শিমুল জানান, আমাদের সবার মায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। কারো মা যেন কষ্ট না পায় সে জন্য সবার সচেতন হতে হবে। আমার লেখায় সব সময় সমাজের অবহেলিত মানুষের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় এ অবহেলিত মায়ের কথা সমাজের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, খবর প্রকাশের পরে নজরুল তার মা সাফিয়াকে তার ঘরে তুলেছে গতকাল। সাফিয়ার মেয়ে শাহিদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তিন বছর পর্যন্ত মায়ের সেবা যত্ন করেছি। এখন নিজের খাবার জোটেনা, মাকে কি খাওয়াব। এ ব্যাপারে নজরুল বলেন, আমি বর্তমানে কিছু ঋণগ্রস্থ। তাই বোনকে বলছিলাম মাকে দেখতে। কিন্তু বোন তা মান্য করেনি। আমি আমার মাকে ঘরে নিয়ে এসেছি।