আজ- রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ এর খুলনা আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয়ে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ইয়বা ও দূর্নীতী কর্মকান্ড ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা

বিশেষ প্রতিনিধি : “চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ” সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পুলিশ অভিযানে বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার এবং খুলনা অঞ্চালের প্রধান (ডিএস), সহকারী প্রধান (ডিএফ), ঠেকরাবাদ (সিডিএসপি) ম্যানেজার এবং প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তার বিভিন্ন দূর্নীতি এবং অপকর্ম ধামা চাপা দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় কর্মকর্তা অপচেষ্ঠা ও মিথ্যাচার করছে।

গত ২৯ জুন ২০২২,৭১নিউজটুডে, পত্রিকায় “চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ এর খুলনা দক্ষিন আঞ্চলিক প্রধান এবং ন্যাজ্যারীণ মিশন বাংলাদেশের বোর্ড সম্পাদক রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস এর স্বীকারোক্তি এবং প্রমান স্বাপেক্ষে সুনির্দিষ্ঠ একটিপ্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণের পক্ষ হতে কোনরূপ নিউজের স্বপক্ষে উত্তর না চেয়ে প্রতিবেদন টিকে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রবনতা রিতিমত প্রতিষ্ঠানটির দূর্নীতি এবং আইন বিরোধী কাজের পক্ষে সমর্থন বলে প্রমানীত হয়। ৭১নিউজটুডে, সব সময় যে কোন নিউজের যথার্থ প্রমান, জবাবদিহীতা, এবং স্বচ্ছতায় বদ্ধপরিকর।

এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ প্রধান স্টিভ কস্তা বলেন “আমরা কোন পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যকে মিথাচর বা অপপ্রচার বলি নাই, আমরা বলতে চেয়েছি চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ কোন প্রকার আইন বিরোধী এবং দুর্নীতিকে প্রচ্ছায় দেয় না”।

এবিষয়ে ফাইন্যান্স ম্যানেজার মি: রুবেন হীরা বলেন, আমরা প্রত্রিকার নিউজ কে মাথ্যা বা অপপ্রচার বলে আমাদের কোন মতামত নাই, আমরা বলতে চেয়েছি “চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ কোন অপকর্ম কে প্রচ্ছয় দেয় না।

তাদের এই মতামত এবং প্রেস ব্রিফিং এর মধ্যে যে অসামঞ্জস্য প্রতিয়মান হয় তা প্রতিষ্টানটির স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতাকে কলুশিত করে বলে প্রমানীত হয়। এমনকি প্রকাশিত সংবাদের সুস্পষ্ঠ কোন জবাব দিতে ব্যার্থ হয়ে বিষয়টাতে ধামাচাপা দেওয়ার কেীশল হিসেবে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা।

সম্প্রতি “চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ এর খুলনা অঞ্চলের হিসাব কর্মকর্তা মি: সজল সরকার এর হিসাব নীরিক্ষায় ২৬ লক্ষ টাকা আত্বসাতের প্রমান পেয়েছে এবং খুলনা কোর্টে একটি কেস দায়ের করেছে যা প্রতিষ্ঠানের দূর্নীতি এবং প্রতিষ্ঠান এর দ্বায়িত্বহীনতার প্রমান মেলে, এমন কি কয়েকজন কর্মি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারিদের প্রদানকৃত দীর্ঘ দিনের জমাকৃত দশমাংশ এর কোন হিসাব প্রতিষ্ঠান না দিয়ে ডি এস এ সকল টাকা আতœসাত করেছে।

এছাড়াও চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ এর ফাইন্যান্স ম্যানেজার মি: রুবেন হীরা এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অডিও রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে, এ বিষয়ে যানতে চাইলে ঐ নারী শিশুর পিতা এবং চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ এর উপদেষ্ঠা মন্ডলির সদস্য মি: ভানু খান, বলেন এটা আমাদের একান্ত পারিবারিক বিষয় এবং অফিস কর্মপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধিন রয়েছে।
অন্যদিকে মি: রুবেন হীরা বলেন এটা আমাকে ফাসনোর জন্য করা হয়েছে এবং বিষয়টি উর্দ্ধতনের কাছে বিচারাধিন রয়েছে। উল্লেথ্য যে মি: রুবেন হীরার নামে ২০২০ সালে গোপালগঞ্জে একটি নারী ধর্ষনের অভিযোগও রয়েছে।

রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোসনিজে স্বীকার করেন, তার নিজের ব্যবরীত টেবিলের ৩নং ড্রয়ার এবং মি: রিচার্র্ড হালদার এর অফিস কক্ষের সোফার ভিতর হতে পুলিশ তল্লাশি করে বিপূল পরিমান উয়াবা উদ্ধার করেছে, যার চাবি সে নিজেই সংরক্ষণ করে থাকে।তিনি আরো অভিয়োগ করে বলেন পুলিশিং কমিটির সদস্য মানু সাহেবের মধ্যস্থতায় পুলিশ ত্রিশ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েফাইন্যান্স অফিসার মি: সজল সরকার, অফিস দারোয়ান মি: সুবাস দাস কে বেধরক মারপিট করে ছেড়ে দিয়ে য়ায় এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে যায়। এবং ফাইন্যান্স অফিসার মি: সজল সরকার, পুলিশের বেধরক মারপিটের কারনে হসপিটালে ভর্তি হয় এবং টিকিৎসা গ্রহণ করে।

তিনি আরো বলেন পুলিশি অভিজানের সময় উপস্থিত ছিলেন, রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস (ডিএস), মি: রিচার্র্ড হালদার (ডিএফ), ম্যানেজার মি: তাপস ঘরোজা, ফাইন্যান্স অফিসার মি: সজল সরকার, অফিস দারোয়ান মি: সুবাস দাস, ঠিকরাবাদ সিডিএসপি প্রজেক্ট ম্যনেজার মি: জ্যাভিয়ার বিশ্বাষ, মোংলা উপজেলা প্রধান রেভারেন্ট টিটো গাইন, সিডিসি প্রধান মানুয়েল মজুমদার যাদের স্বীকারোক্তি ঘটনার সত্যতা প্রমান করে।

তিনি অভিযোগ করেন কেহ সত্রুতা করে এ কাজ করেছে, সেক্ষেত্রে কথা হলো প্রতিষ্ঠানটির অফিসে সিসি ক্যামেরা রয়েছে এবং সেখান হতে সহযে এ ঘঠনার সত্যতা উৎঘাটন করা সম্ভব। জানা যায় ঢাকা ন্যাশনাল অফিস হতে সরোজমিনে তদন্ত করতে আশায় মি: রিচার্র্ড হালদার (ডিএফ) এর রুমের সিসি ক্যামেরার বিগত দিনের সকল ফুটেজ ডিলিট করে দিয়েছে, যার যাবতীয় নিয়ন্ত্রন সে এবং (ডিএস) রেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস করে থাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেনরেভারেন্ট অঞ্জন মোশি বোস (ডিএস) বিভিন্ন অপকর্ম করার দায়ে সিলেটে গনরোশের স্বীকার হয় এবং সেখান হতে রংপুরে তাকে বদলি করা হয় এবং সেখানেও তার বিভিন্ন অর্থকেলেংকারী কাজের অভিযোগ রয়েছে।

মাদক নিয়োন্ত্রন অধিদপ্তর হতে তাদের ডোপটেস্ট করার অনুরোধ করা হলেও আজ পর্যন্ত উল্লেখিত কর্মকর্তাবৃন্দ কোন রকম উদ্দ্যোগ গ্রহণ করে নাই। এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ প্রধান মি: স্টিভ কস্তা বলেন তার কর্মচারিগনের আগ্রহ না থাকার কারণে বিসয়টি আমলে আনা সম্ভব হয় নাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন ফেব্রƒয়ারী ২০২২ এ বর্তমান ডিএস খুলনা আঞ্চলিক অফিসে যোগদান করার পর হতে ব্যপকভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম হতে অর্থআত্বস্বাৎ, নেশা সহ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম করে আসছিল, ডিএস, ডি এফ এবং খুলনা সিডিএসপি এর ম্যনেজার জেভিয়ার বিশ্বাস। এই তিনজনই প্রতিষ্ঠানের বিষেশ পদে বহাল থাকার জন্য চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায় না।

প্রতিষ্ঠানটির প্রায়ই প্রতিটি কার্যক্রমে অনিয়ম, স্বার্থ কেন্দ্রিক কর্মচারি নিয়োগ, পারিবারিক এবং ব্যাক্তি পর্যায় আতিœকতার অভাব সয়ং খৃষ্ঠীয়ান মহলেও সমালোচিত, যদিও আমাদের দেশে খৃষ্ঠীয়ান প্রতিষ্ঠানগুলির উপর সকল সম্প্রদায়ের একটা আস্থা, ভালোবাসা এবং সহযোগীতা দৃশ্যমান।

এবিষয়ে খুলনা অঞ্চলের হিন্দু, খৃষ্ঠান ও বেীদ্ধ পরিষদের চেয়ারনম্যান বলেন চার্চ অব দ্যা ন্যাজ্যারীণ বিভিন্ন অপকর্মের কথা আমরাও শুনছি এবং খৃষ্ঠান সমাজের সন্মার্থে প্রমানীত অপকর্মেরসঠিক বিচার আমরা প্রত্যাশা করি। গুটিকতেক স্বার্থন্যেশি মানুষের জন্য আমরা অপবাদের স্বীকার হতে চাই না।

এধনের নেক্করজনক ও কুরিচি সম্পন্ন কর্মকর্তাদের সঠিক বিচার সহ প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা আনার জন্য সরকারী প্রশাসন, দাতা প্রতিষ্ঠান, জনপ্রতিনিধি এবং এনজিও এ বি এর বিশেষ নজরদারী একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন ভূক্তভোগীগন।।

 

বিভাগ: অন্যান্য