পিরোজপুর পৌরসভা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত এক বৃদ্ধের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হলেও পরিবারের দাবী তাকে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হলেও তাকে অনেক মারধর করার কারনেই তার অকাল মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৃতের ছেলে মো: হাসিবুল ইসলাম। মৃত আলম মৃধা (৪৮) পৌর এলাকার ব্রাহ্মনকাঠী এলাকার মৃত আজিজ মৃধার পুত্র।
মৃতর ছেলে মো: হাসিবুল ইসলাম জানান, গত ১০ মার্চ সকালে পিরোজপুর পৌর এলাকার পুর্ব খানাকুনিয়ারী এলাকায় পানি সেচের মেশিন ক্রয় বিক্রয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার চাচা আব্দুল কালামের সাথে প্রতিবেশী রাজু শিকদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। সেই কথাকাটাকাটি ঠেকাতে গেলে আমার বাবা ঠেকাতে গেলে তার উপর রাজু ও তার বাবা মহব্বত শিকদার, রাজুর ভগ্নিপতি জাহিদ হাওলাদার, রাজুর ভাগ্নে রাহাত হাওলাদার এবং তার ছোট ভাই রনি শিকদার হামলা করে। সেখান থেকে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে তার মৃত্যু হয়। তাকে মৃত অবস্থায় প্রথমে পিরোজপুর সদর থানায় ও পরে জেলা হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্তের জন্য রাখা হয়। তবে আমার বাবাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আঘাত করা হয়েছিল। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মৃতের স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, আমার স্বামীকে অন্যায় ভাবে কতমতলা এলাকার ঝড়ঝড়িয়া তলা এলাকার রাজু, মহব্বত সিকদার, জাহিদ, রাহাত, রনি সিকদার মিলে অনেক মারধর করে। এতেই তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হোক।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ. জা. মো: মাসুদুজ্জামান জানান, এ ঘটনার কয়েকদিন আগে সদর থানায় একটি মারপিটের অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। নিহতের পরিবারের দাবি হত্যা তাই আলমের মৃত্যুর পরে বিষয়টিতে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসার পরে লাশ আমরা হাতে পেয়ে ময়নাতদন্তে পাঠানোর বিষয়টি প্রকৃয়াধীন রয়েছে। তবে এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর ব্যাপারে বিস্তাড়িত বলা যাবে। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
