আজ- বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : দুই পক্ষের মামলায় আসামী ১৩৩ : শহরে বিক্ষোভ মিছিল

 

পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নে স্থগিত ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিপক্ষ সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকদের মধ্যে শনিবার রাতে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় সদর থানায় দুই পক্ষের পৃথক দুই মামলায় মোট ১শ’ ৩৩ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। কদমতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সরকার দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী গুরুতর আহত হানিফ খানের স্ত্রী এবং সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে রোববার রাতে সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেনকে আসামী করে এজাহারভুক্ত ৪৪ জন এবং অজ্ঞাত আরও ৩০ জনকে আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে, একই ইউনিয়নের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শিহাব উদ্দিন নিজে বাদী হয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ খানসহ ৫৯ জনকে এজাহারভুক্ত আসামী করেছেন।

এদিকে, সোমবার সকালে কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হানিফ খান ও তার সমর্থকদের ওপর প্রতিপক্ষের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ এবং মামলার সকল আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক স্বপনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, কদমতলা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনিত নৌকা মার্কার প্রার্থী হানিফ খানকে পরাজিত করার জন্যই প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে বিকল্প প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী হানিফ খানসহ আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের হামলা করে আহত করেছে।আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের উপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপ করছে। এছাড়া চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আওয়ামীলীগ নামধারী কিছু নেতার ছত্রছায়ায় কয়েক দিন যাবৎ পিরোজপুর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাদের বাড়ি ভাংচুর, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের উপর গুলি ও বোমা নিক্ষেপ সহ জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বাড়িতে ডাকতির উদ্দেশ্যে হামলা ও ভাংচুর করে।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে কদমতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: হানিফ খান ও তার সমর্থকদের ওপর প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শিহাব উদ্দিনের সমর্থকরা হামলা সহিংসতা এবং কুপিয়ে হানিফকে গুরুতর জখম করে। হামলায় এসময় স্থানীয় আরও ৫ জন কর্মী আহত হয়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজীদ হোসেন জানান, ওই (শনিবার) রাতে তিনি দূর্গাপুর ইউনিয়নের নাগরপুরে ঈদের আগে কয়েকজন সরকারি ভাতা বঞ্চিতদের খোঁজখবর নিতে সেখানে ছিলেন। ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে অভিযুক্ত করার চেষ্টা এবং আমার ভাবমূর্তি বিনষ্ট করারও অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে আ জ ম মাসুদুজ্জামান মিলু জানান, চেয়ারম্যান মো: হনিফ খান ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সিহাব সেখ দুজনেই বাদী হয়ে শতাধিক জনকে নামিয় এবং অজ্ঞাত প্রায় ৬০ জনকে আসামী করে সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় দুই গ্রুপের তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবয় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,রাজনীতি,সারাদেশ