আজ- রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরে তিন ঘণ্টা দেরিতে টিসিবির পণ্য বিক্রি, ভোগান্তির অভিযোগ গ্রাহকদের

পিরোজপুরে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ৭৭ হাজার দরিদ্র অসহায় স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে ডাল, তেল, চিনি বিতরণ কার্যক্রম কিছুটা বিলম্ব হলেও শুরু হয়েছে। রোববার সকাল ১০টা থেকে টিসিবি’র এসব পন্য বিতরণ শুরু কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন ঘণ্টা দেরিতে শুরু হওয়ায় পিরোজপুরে টিসিবি পণ্য গ্রহণকারীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। একদিকে প্রচণ্ড রোদ ও গরমে সকালে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে।

পিরোজপুর পৌরসভার ৩টি কেন্দ্রে সকাল ১০ টা থেকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেয়ার কথা থাকলেও তা শুরু করা হয় দুপুর ১টা থেকে। মূলত প্যাকেটের কারণেই শুরুতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান ডিলাররা। তবে প্রশাসন বলছে, সমন্বয়ের অভাবে প্রথম দিনে বিলম্ব হয়েছে। তবে আগামী দিন থেকে যথাযথ সময়ে বিক্রি শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছে প্রশাসন।

অনেক ভুক্তভুগী গ্রাহক অভিযোগ করেছেন সকাল থেকে প্রখর রোদে দুপুর পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকে তারা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন। মালামাল লোডিংএর সমস্যার কারনে টিসিবির পন্য গ্রাহকদেও দিতে কিছুটা দেরী হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম। প্রতিক্রেতা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার , চিনি ৫৫ টাকা করে ২ কেজি এবং মুসুরি ডাল ৬৫ টাকা করে ২ কেজি ক্রয় করবে। টিসিবি জেলার ৭ উপজেলার ৪টি পৌরসভা ও ৫৩ টি ইউনিয়নের ৭৭ হাজার ৫০১ জন বিশেষ কার্ডধারী নর-নারীকে এ সুবিধা দিবে। রমজান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে দেয়া হবে ২য় কিস্তির পণ্য। ২১ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় এ নত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হবে। পিরোজপুরের ৭৭ হাজার ৫০১ জন বিশেষ কার্ডধারী এ সুবিধা পাচ্ছে। ২য় কিস্তির পণ্যের সাথে ছোলার ডালও সংযুক্ত করা হবে।

পিরোজপুরের ১ম কিস্তিতে যারা এ সুবিধা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯হাজার ৪১৪ জন, নাজিরপুরে ১০ হাজার ৮৪ জন, স্বরূপকাঠীতে ১২ হাজার ৮ জন, ভান্ডারিয়ায় ৯ হাজার ৪৬০ জন, মঠবাড়িয়ায় ১৪ হাজার ৪৬৪ জন, কাউখালীতে ৬ হাজার ৮১০ জন এবং ইন্দুরকানীতে ৫ হাজার ৭১২ জন। একই সাথে পিরোজপুর পৌরসভায় ৪ হাজার ৩৭৫ জন, নেছারাবাদ পৌরসভায় ১ হাজার ১৭০ জন, মঠবাড়িয়া পৌরসভায় ১ হাজার ৩০৬ জন এবং ভান্ডারিয়া পৌরসভায় ২ হাজার ৬৯৬ জন এ সুবিধা পাবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, প্রথম দিন লোডিং সমস্যার কারনে একটু দেরি হলেও পরে সকল গ্রাহকদের টিসিবি পন্য সরবরহ করা হয়েছে। ২১ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় এ নত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ পণ্য বিক্রির স্থানগুলো নির্দ্দিষ্ট করে দিবেন এবং তালিকাভুক্তদের পণ্য প্রদানের স্থান ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,লাইফ স্টাইল,সারাদেশ