আজ- রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরে তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক জোর করে টিকা দেয়ায় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে শিশুটি অভিযোগ পরিবারের

পিরোজপুর সদর উপজেলার ৬৬নং খামকাঁটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক নিজে জোর করে টিকা দিলে শিশুটি অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছে শিশুটির পরিবার। রোববার (২৮ আগষ্ট) বিকেলে জেলা হাসপাতালে ভর্তি অসুস্থ্য শিশু মিম আক্তারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মিম আক্তার দক্ষিণ খামকাঁটা এলাকার মনির হাওলাদারের মেয়ে।

পরিবারের লোকজন জানায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমা রানী মিত্র তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিম আক্তারকে রুমে ডেকে নিয়ে নিজেই জোর করে একটি টিকা প্রদান করে। বাড়িতে ফিরে মিম প্রচন্ড জ্বর ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করে পরে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তিকরা হলে চিকিৎসক তাকে খুলনায় রেফার্ড করে। কি কারনে এমনটা করেছেন প্রধান শিক্ষত তা জানেন না পরিবারের লোকজন। তবে উদ্দিশ্য প্রনোদিত ভাবে প্রধান শিক্ষক এ কাজ করেছে বলে এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন পরিবারের লোকজন।

স্কুল ছাত্রী মিম আক্তারের খালা নুপুর আক্তার জানান, দুই দিন ধরে মীম আক্তার প্রচন্ড জ¦রে আক্রান্ত হাটা চলা করতে পারে না খাবার খেতে পারে না। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে প্রধান শিক্ষক ম্যাডাম তাকে রুমে ডেকে নিয়ে জোড় করে একটা ইনসেকশন দেয় এতে সে অনেক ব্যাথাও পায়। আমরা এ বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত করে ম্যাডামের বিচারের দাবী জানাই।

জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার নাজমীন আক্তার জানান, শিশুটির শ^াসকষ্ট হচ্ছে তবে নির্দিষ্ট কোন কারন বোঝা যাচ্ছে না। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে ৬৬নং খামকাঁটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমা রানী মিত্র বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি এ ঘটনার সাথে কোন প্রকার জড়িত নয় বলে জানায়।

 

 

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,লাইফ স্টাইল,সারাদেশ