আজ- শনিবার, ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেষ হয়ে গেছে পিরোজপুরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ ওমর ফারুক এর জন্য সেই মায়ের অপেক্ষা

পিরোজপুরের অন্যতম মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শহীদ ওমর ফারুক এর মা কুলসুম বেগম দির্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে জেলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবকৃন্দের মধ্যে।

আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে পিরোজপুরের নিজ বাসভাবনে বার্ধক্য জনিত কারনে ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। তিনি ছেলে মেয়ে ও আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। কুলসুম বেগম দীর্ঘ ৫০ বছর তার ছেলে শহীদ ওমর ফারুকের জন্য ভাতের থালা নিয়ে রাতে দরজা খোলা রেখে অপেক্ষা করতেন। যোহর নামায পড়ে জানাযা শেষে শহরের পৌর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কুলসুম বেগমের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম এ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো: হাবিবুর রহমান মালেক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান খালেক, কেন্দ্রিয় যুবলীগের সদস্য মশিউর রহমান মহারাজ, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাদউল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মিরণ সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

কুলসুম বেগমের মেয়ে জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সালমা রহমান হ্যাপি জানান, আমার ভাইয়ের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় মা জীবনের শেষ দিনটি পর্যন্ত দরজা খুলে রেখে অপেক্ষা করেছেন। আজ সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে। আমার মায়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন। তার জানাজা শেষে তাকে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শহীদ ওমর ফারুক পিরোজপুরে প্রথম স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তেলন করেছিরেন। তিনি তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। বরিশালের ত্রিশ গোড়াউনে হানাদার বাহিনী লোহার রডে পতাকা বেধে তার মাথায় ঢুকিয়ে তাকে হত্যা করে তার লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো।

 

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,সারাদেশ