আজ- মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কর্মসৃজন কর্মসুচির টাকা নিয়ে হামলায় ঘটনায় আহত ১০ জন : ১৯ জনকে আসামী করে মামলা

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজের টাকার কমিশন আদায় করতে গিয়ে হামলায় আওয়ামীলীগ যুবলীগ নেতা সহ ঊভয় পক্ষের দশ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুড়ের অভিযোগ করেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পত্তাশী তালুকদারের হাটে এ ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাতে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক নাসির উদ্দিন টুকু বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম লাভলু সহ তার চার ভাই,তার শ্বশুর ইউপি সদস্য কাওসার আহম্মেদ সহ ১৯ জন কে আসামী করে মামলা করেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে পত্তাশী বাজরে ইউপি সদস্য কাওসার আহম্মেদ কর্মসৃজন কর্মসুচির শ্রমিক মিঠু হাওলাদারে কাছে কাজের কমিশণের টাকা চাওয়ারকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটাকি হলে ইউপি সদস্য তার মেয়ের জামাই উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খায়রুল ইসলাম লাভলু মাতুব্বরকে ফোনে ডাকে। সে কিছু সময় পর এসে শ্রমিক মিঠুকে হুমকী দিয়ে তার শ্বশুর ইউপি সদস্যের কাছে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করান। এঘটনা শুনে বাজারে থাকা স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,ছাত্রলীগ সহ স্থানীয়রা যুবদল নেতা লাভলূ ও তার শ্বশুরে উপর হামলা করে। তখন মহারাজ নামে এক ঔষধের ফার্মেসীতে তারা আশ্রয় নেয়। যুবদল নেতা লাভলুকে ও তার শ্বশুরকে আটকের খবর শুনে লাভলুর ভাই সহ তার অনুসারীরা লাভলুকে উদ্ধার করার নামে হামলার চালায়। হামলায় ইউনিয়ন আওয়মীলীগের দপ্তর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, যুবদল নেতার ছোট ভাই রাজু আহম্মেদ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলাম ফকির, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মজিদ, শাহাদাৎ হোসাইন, শ্রমিক রফিকুল ইসলাম, ঔষধের দোকানদার মহারাজ ও যুবদল নেতা লাভলু সহ উভয় পক্ষের দশ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম কে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে রাতে তারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুর চালায়।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, কর্মসৃজন কর্মসুচির টাকা না দেওয়ায় ইউপি সদস্যের জামাই লাভলু মিঠু নামে এক শ্রমিক কে মারধর করায় স্থানীয়রা চড়াও হয় । তখন লাভলূ ও তার ভাই সহ তার সহযোগীরা এসে হামলা করলে আওয়ামীলীগ নেতা শহিদুল সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। তবে কে বা কারা আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা করেছে
তা তিনি দেখেন নি।

জেলা যুবলীগের সাধঅরণ সম্পাদক ‍জিয়াউল আহসান গাজী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।

ইন্দুরকানী থানার ওসি মোঃ এনামুল হক জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,শিক্ষাঙ্গন,সারাদেশ