আজ- সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরে ৭,১৭,২৫ ও ২৬ মার্চ উদ্যাপনের প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত

পিরোজপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ, ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের লক্ষে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ আব্দুর রাজ্জাক- সাঈফ মিজান স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক মো: জাহেদুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রস্তুতি সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক চৌধুরী রওশন ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী,  সিভিল সার্জন ডা: হাসনা ইউসুফ জ্যাকী, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রুহিয়া বেগম হাসি, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেবেকা খান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম নারায়ন রায় চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠন, পূজা উদ্যাপন পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এবং বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদ্যাপনে যেসকল কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৭ তারিখ জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর উপর ডকুমেন্টরী প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তপক অর্পণ। ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসে বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তপক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের উপর ডকুমেন্টরী প্রদর্শন, ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার, শিশুদের সাথে বঙ্গবন্ধুর ছবির প্রদর্শনী, মসজিদ ও মন্দিরে মোনাজাত ও প্রার্থনা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোক স্বজ্জা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা রয়েছে।এদিনের আলোচনা সভার প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অধিকার- সকল শিশুর সমান অধিকার।

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রতিকী ব্লাক আউট, আলোচনা সভা, মোমাবাতি প্রজ্জলন, গীতিনাট্য ও গণসংগীত পরিবেশনা। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকল সরকারি- বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোক সজ্জা, ৩১ বার তোপধ্বনি, স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, জাতীয় সংগীত পরিবেশনা, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, শহীদ পরিবার ও যুদ্ধাহতদের সংবর্ধনা, কাবাডি প্রতিযোগিতা, ফুটবল প্রতিযোগিতা, মসজিদে মোনাজাত, মন্দিরে প্রার্থনা, উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা, কারাগার, শিশুসদন ও হাসপাতালে উন্নত খাবার পরিবশন, সড়কে জাতীয় পতাকা সজ্জিতকরণ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন, শিক্ষার্থীদের জন্য সিনেমা হলে মুক্তিযুদ্ধের ছবি প্রদর্শন ও ডিসি পার্কে শিশুদের বিনা টিকেটে ভ্রমণের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এছাড়া ১৭-২৩ মার্চ পর্যন্ত ৫০টি জাতীয় পতাকা নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও ৫০ বছরের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা সভার আয়োজন। এসব বিভিন্ন কর্মসূচি সুচারুরূপে সমাপ্ত করার লক্ষে ২৫টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,শিক্ষাঙ্গন,সারাদেশ