আজ- মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ আগষ্ট এর ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ছিলো জিয়াউর রহমান ….মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, ১৫ আগষ্ট এর ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড মূল চক্রান্তকারী ছিলো জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে সবকিছু জানতেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধু কে হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না এটি জিয়াউর রহমানের পার্লামেন্টে তার সাক্ষরে আইন পাশ করা হয়েছিলো। ২০০৪ সালে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলো তারেক রহমান। তারেক রহমান নিজে সম্পৃক্ত থেকে স্বারাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী দুৎফর জামান বাবর, সমাজকল্যান মন্ত্রী আলী আহসান মুজাহিদ, আব্দুস সালাম পিন্টু সরাসরি জড়িত ছিলো। এ ঘটনা খালেদা জিয়া জানতেন এবং তিনি হামলাকারীদের মদদ দাতা ছিলেন। খালেদা জিয়া ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় সুষ্ঠ তদন্ত করতে দেননি খুনিদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য অনেকবার চেষ্টা করা হয়েছিলো চক্রান্তকারীরা আজও থেমে নেই। তাই সুযোগ পেলেই ষড়যন্ত্র শুরু করে এদেশের মাটিতে আর কোন জঙ্গিবাদের ঠাঁই দেয়া হবে না।

আজ মঙ্গলবার (২৩ আগষ্ট) বিকেলে পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা যুবলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে আজ তিনি হতেন পৃথিবীর অপ্রতিদ্ব›িদ্ধ নেতা। এ বিষয়টি বুঝতে পেরেই বিদেশী কুচক্রি মহল এদেশীয় স্বার্থন্বেষী কুচক্রিদের মাধ্যমে তাকে হত্যা করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তের স্রোতধারাকে স্তব্ধ করার জন্য তার উত্তরসুরী কেউ না থাকে সেজন্য তার শিশু পুত্র শেখ রাসেলকেও হত্যা করেছে। তবে আল্লাহর অশেষ কৃপায় সেদিন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। এর পরেও তারা থেমে থাকেনি। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২০ বার চেষ্টা করেছে। পৃথিবীর জঘন্যতম ওই হামলার পর তারা আওয়ামীলীগের অভিযোগ না নিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল। আল্লাহর ইচ্ছায় খুনিদের বিচার হয়েছে।

তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা সবাই কর্মী, একমাত্র নেতা শেখ হাসিনা। তিনি জাতির জনকের রক্তের উত্তরসুরি। নেতৃত্বে কোন্দল নিয়ে অহেতুক বিবাদ না বাধিয়ে সকলে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাঙালী জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধের আহবান জানিয়ে আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ ভাবে সকল নেতা-কর্মীদের দলের জন্য কাজ করার আহবান জানান।

জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট চন্ডিচরন পাল, পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গৌতম নারায়ন চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন পিরু, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক সিকদার চান প্রমুখ।

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,রাজনীতি,সারাদেশ