আজ- শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরে ওএমএস এর গম ভাঙানোতে নয়ছয়

নিয়ম অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে গম ভাঙিয়ে তা থেকে উৎপাদিত আটা স্থানীয় ওএমএস ডিলালের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা। তবে বরাদ্ধ পাওয়ার পর সেই গম স্থানীয়ভাবে না ভাঙিয়ে পাঠানো হয় খুলনায়। আর সে আটা পুনরায় ফিরে না এসে বিক্রি করা হয় কালোবাজারে। এছাড়া আটা উৎপাদনের জন্য সরকারের দেওয়া নিয়মেরও কোন তোয়াক্কা করা হয় না। এতে করে সরকারের প্রদত্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে এদিকে নজর নাই সংশ্লিষ্ট খাদ্য বিভাগের।

সাধারণ মানুষের কাছে সুলভ মূল্যে আটা বিক্রির লক্ষ্যে পিরোজপুর সদর এলএসডি থেকে গত ২০ জানুয়ারি পিরোজপুরের তিনটি মিলকে বরাদ্ধ দেওয়া হয় ১৬৯ মে. টন গম। এর মধ্যে মেসার্স ভাই ভাই ফ্লাওয়ার মিলকে ৮ মে. টন, মেসার্স মুনস্টার ফ্লাওয়ার মিলকে ৮১ মে. টন এবং মেসার্স হাওলাদার ফুড প্রোডাক্টসকে ৮০ মে. টন গম বরাদ্ধ দেওয়া হয়। এর পর ৮ ফেব্রুয়ারি ওএমএস এর বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় এই তিনটি মিলকে বরাদ্ধ দেওয়া হয় ১৭১ মে. টন গম যার প্রায় ১৪৮ মে. টন দেওয়া হয় নতুন তৈরি করা মেসার্স মুনস্টার ফ্লাওয়ার মিল এবং মেসার্স হাওলাদার ফুড প্রোডাক্টসকে যা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেন মেসার্স হাওলাদার ফুড প্রোডাক্টস এর মালিক আসলাম হাওলাদার। আসলামের খুলনাতেও একাধিক মিল রয়েছে। এছাড়া দুইটি মিলের দায়িত্বেও রয়েছেন একজন ম্যানেজার। অভিযোগ রয়েছে পিরোজপুর থেকে উত্তোলনকৃত গম তিনি খুলনায় নিয়ে ভাঙান এবং সেগুলো পিরোজপুরে না এনে খুলনাতেই বিক্রি করেন।

সম্প্রতি চালু করা এ মিলটি পুরোপুরি নির্মান কাজ শেষ না করেই তাড়াহুড়ো করে চালু দেওয়া হয়েছে। সেখানে আদৌ ওএমএস এর কোন গম ভাঙানো হয় কিনা তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। এছাড়া খুলনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক সংস্থার জন্য বরাদ্ধকৃত গম ভাঙানোর কাজে জড়িত থাকায় তার এ মিলটিতে খাদ্য বিভাগের নাই কোন নজরদারি। শুধু তাই নয়। নিয়ম অনুযায়ী উৎপাদনকৃত আটার বস্তায় মিলের নাম ও সরবরাহের তারিখ উল্লেখের বাধ্যবাধকতা থাকলেও, এর কোনটিই মানা হয় না সেখানে। এছাড়া পরিষ্কার পরিবেশে আটা উৎপাদনের শর্তও উপেক্ষিত মিলগুলোতে। এ অনিয়মের কারণে সহজেই সাধারণ মানুষকে আটা বিতরণ না করে কালো বাজারে পাচারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে মিল পরিচালনার সাথে জড়িতদের দাবি সঠিকভাবেই প্রাপ্ত গম থেকে তারা আটা উৎপাদন করে ওএমএস ডিলারদের কাছে দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে মেসার্স হাওলাদার ফুড প্রোডাক্টসকে মালিক আসলাম হাওলদার জানান, নতুন করে মিল চালু করায় পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু ভুলত্রুটির হতে পারে। পরবর্তীতে বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।

মেসার্স মুনস্টার ফ্লাওয়ার মিলের মালিক ফারুক হোসেন জানান, আমাদের খুলনায় মিল আছে আমরা সাধারণত খুলনা থেকেই বরাদ্দ পেতাম। বর্তমানে পিরোজপুরে মিল নতুন চালু করায় বস্তায় লোগোর ছাতা আগামী মাস থেকে দিবো।

পিরোজপুরের সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মশিয়ার রহমান এর কাছে এ ষিয়ে জানতে চাইলে মিল দুইটির বিষয়ে অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে স্বীকার করেন। তদন্ত করে দেখার কথা বলেন তিনি।

 

 

বিভাগ: অন্যান্য,জাতীয়,টপ নিউজ,ফিচার,বরিশাল বিভাগ,ব্রেকিং নিউজ,মিডিয়া,সারাদেশ